অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি সরাসরি বাকি দুই উপদেষ্টার নাম নিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
এই প্রথম বাংলাদেশে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অথচ সে বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। একজন ব্যক্তি যিনি সারা জীবন আমেরিকায় অতিবাহিত করেছেন, তাঁকে এনে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘আমাকে যদি বিদেশি নাগরিক বলা হয়, তাহলে কাল তারেক রহমানকেও একইভাবে বলা হবে।’ বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিজের পরিচয় স্পষ্ট করেন।
বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো দেশের পাসপোর্ট নেই। আমি আমেরিকায় থেকেছি পরিবারের সাথে কিন্তু সেখানকার কোনো পাসপোর্ট আমার নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো পরিচয় নেই।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘ করিডর’ স্থাপনের কথা ‘গুজব ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘করিডর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবেও না।’
বাংলাদেশের বন্দর ও করিডর ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানকে ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। খুলনার এক সমাবেশে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা করিডরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা...